বকেয়াভিত্তিক হিসাববিজ্ঞান কি এবং এর উদ্দেশ্য - NagorikSebaBD
বকেয়াভিত্তিক হিসাবরক্ষণ পদ্ধতিতে আয় ও ব্যয় ঠিক তখনই হিসাবভুক্ত করা হয় যখন লেনদেনটি সংঘটিত হয়।
অর্থাৎ সহজভাবে বলতে গেলে, যখন কোন আয় ব্যয় সংঘটিত হয়, সেটা বাকি কিংবা নগদে সাথে সাথে সেটি অন্তর্ভুক্ত বা হিসাবের বইয়ে লিখা হলে তাকে বকেয়া ভিত্তিক হিসাববিজ্ঞান বলে। কোন নগদ লেনদেন না হয়েও আয় বা খরচ হয়ে গেলে সেটিকে আয় বা খরচ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করাই হল বকেয়াভিত্তিক হিসাববিজ্ঞান।
যেমনঃ যদি বাকিতে পন্য বিক্রয় করে তা সাথে সাথে হিসাবভুক্ত (দেনাদার ও বিক্রয় হিসাবে) হলে, সেটিই বকেয়াভিত্তিক হিসাববিজ্ঞান বলে।
বকেয়াভিত্তিক হিসাববিজ্ঞান পদ্ধতি হল বিজ্ঞানসম্মত ও আধুনিক পদ্ধতি
বকেয়া ভিত্তিক হিসাববিজ্ঞান পদ্ধতি হলো আধুনিক, বিজ্ঞানসম্মত ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি পদ্ধতি। কারণ এ পদ্ধতিতে ব্যবসায়ের সঠিক ও সত্য প্রতিচ্ছবি প্রতিফলিত হয়। কোন হিসাবকালের যেকোনো সময় এর ব্যবসায়ের সঠিক লাভ-লোকসান ও আর্থিক বিবরণী প্রস্তুতের জন্য এই বকেয়াভিত্তিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
বকেয়াভিত্তিক হিসাববিজ্ঞানের বৈশিষ্ট্য
- কোন আয় বা ব্যয়ের জন্য নগদ অর্থ পরিশোধিত হয়েছে কিনা তা বিবেচনা করা হয় না।
- চলতি হিসাবকালে কোন আয় বা ব্যায় অপরিশোধিত থাকলেও চলতি বছরের আয় না ব্যায় হিসাবে ধরা হয়।
- বকেয়াভিত্তিক হিসাববিজ্ঞানে আয়-ব্যয় সংযোগ নীতি বা মিলকরণ নীতি (Matching Principle) অনুসরণ করা হয়।
- বকেয়াভিত্তিক হিসাব সংরক্ষণ করলে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ফলাফলের সাথে অন্য একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ফলাফলের তুলনা করা যায়
বকেয়াভিত্তিক হিসাববিজ্ঞানের উদ্দেশ্য
হিসাববিজ্ঞানের মুল উদ্দেশ্য হল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থার বিবরণী নির্ভুল ও সঠিক ভাবে নিরুপম করা। আর বকেয়াভিত্তিক হিসাববিজ্ঞান ছাড়া আর্থিক অবস্থার বিবরণী নির্ভুল ভাবে তৈরি করা সম্ভব না।
সুতরাং আর্থিক বিবরণী প্রস্তুতের যে উদ্দেশ্য তা কেবল বকেয়া ভিত্তিতে হিসাবরক্ষণ করলেই সাধিত হয়।