ক্রমহ্রাসমান জের পদ্ধতিতে অবচয় নির্ণয় ও এর সূত্র - NagorikSebaBD
ব্যবসায়ে যে পরিমান সম্পদ ব্যয় বা খরচ হয়ে যায়, সেটিই মুলত অবচয়। আজকে আমরা জানব ক্রমহ্রাসমান জের পদ্ধতিতে অবচয় নির্ণয় করা।
ক্রমহ্রাসমান জের পদ্ধতি কাকে বলে?
যে পদ্ধতিতে অবচয়ের পরিমান প্রত্যেক বছর বা হিসাবকালে একটি নির্দিষ্ট হারে কমতে থাকে তাকেই ক্রমহ্রাসমান জের পদ্ধতি বলে।
ক্রমহ্রাসমান জের পদ্ধতিতে অবচয় নির্ণয়
উদাহারণ সরূপঃ ধরূণ আপনার একটি ব্যবসায়ের জন্য ৫০,০০০ টাকায় মেশিন ক্রয় করলেন৷ এখন এই মেশিনটি প্রতি বছরে ১০% দাম হ্রাস পায় বা কমে যায়। অর্থাৎ প্রতি বছর ১০% অবচয় ধার্য করা হয়।
১ম বছরের অবচয় হবে, ৫০,০০০ × ১০% = ৫,০০০ টাকা।
এখন এক বছর পর আপানর মেশিনের আসল মূল্য থাকবে
৫০,০০০ - (৫০,০০০ × ১০%) = ৪৫০০০ টাকা৷
এখন এর পরের বছর যে ১০% অবচয় হবে, তা কিন্তু ৪৫,০০০ টাকার উপর তাই ২য় বছরের অবচয় হবে ৪৫,০০০ × ১০% = ৪,৫০০
৩য় বছরের অবচয়
২য় বছরের শেষে মেশিনের মূল্য উদ্ধৃত বা অবশিষ্ট থাকবে ৪৫,০০০ - ৪,৫০০ = ৪১,৫০০ টাকা।
এখন, ৩য় বছরের অবচয় হবে, ৪১,৫০০ × ১০% = ৪১৫০ টাকা।
ক্রমহ্রাসমান জের পদ্ধতিতে অবচয়ের বৈশিষ্ট্য
ক্রমহ্রাসমান জের পদ্ধতিতে সব সময় ব্যবসায়ে অবচয় নির্ণয় করা যাবে না।
-
এই পদ্ধতিতে অবচয় নির্ণয়ের জন্য যে বৈশিষ্ট্যটি থাকতে হবে তা হল হার, অর্থাৎ % (শতকরা হার) দিয়ে অবচয়ের পরিমান নির্ধারণ করতে হবে৷
-
এই পদ্ধতি তখনই কার্যকর হয় যখন এর কোন আয়ুষ্কাল থাকে না।
-
এই পদ্ধতিতে কেন ভগ্নাবশেষ মূল্য থাকবে না।