বিপরীত দাখিলা কি, কখন দেওয়া হয় ও কিভাবে করা হয় - NagorikSebaBD

সমন্বয় দাখিলা বা জাবেদাগুলো পরবর্তী হিসাবকালের শুরুতে উল্টিয়ে বা বিপরীত দাখিলা দেওয়াকে বিপরীত দাখিলা বলে।

বিপরীত দাখিলা কেন প্রয়োজন

পূর্ববর্তী বছরের হিসাবকালের বকেয়া ও অগ্রিম আয় ও ব্যয় সমূহ পরবর্তী বছরে সহজ ভাবে লিপিবদ্ধ ও যাতে দুবার গণনা না হয় তার জন্যই বিপরীত দাখিলা ব্যবহার করা হয়।

বিপরীত দাখিলা কি, কখন দেওয়া হয় ও কিভাবে করা হয়

বিপরীত দাখিলা কখন দেওয়া হয়

বিপরীত দাখিলা সমন্বয় দাখিলা দেওয়ার পর দেওয়া হয়। এবং বিপরীত দাখিলা বছরের শুরুতে দেওয়া হয়।

ধরা যাক, ২০২২ সালে ৩১শে ডিসেম্বর একটি হিসাবের সমন্বয় দাখিলা প্রদান করা হল। এই সমন্বয় সমূহের বিপরীত দাখিাল প্রদান করতে হবে পরবর্তী হিসাবকালের শুরুর দিন। অর্থাৎ ২০২৩ সালের ১লা জানুয়ারী বিপরীত দাখিলা প্রদান করতে হবে।

কোন লেনদেন সমূহের বিপরীত দাখিলা দেওয়া হয়

সমন্বয়ের মৌলিক চার ধরনের লেনদেন ছাড়া আর অন্য কোন সমন্বয়ের বিপরীত দাখিলা দিতে হয় না। সেগুলো হল

  • বকেয়া আয়
  • বকেয়া ব্যয় বা খরচ
  • অগ্রিম আয় বা অনুপার্জিত আয়
  • অগ্রিম ব্যয় বা অগ্রিম খরচ

কিভাবে বিপরীত দাখিলা প্রদান করতে হয়

বকেয়া ব্যয় বা খরচের বিপরীত দাখিলা

ধরা যাক, বেতন বকেয়া রয়েছে ৬,০০০ টাকা। এর সমন্বয় জাবেদা হবে,

  • বেতন হিসাব -- ডেবিট
  • বকেয়া বেতন -- ক্রেডিট

লেনদেনটির বিপরীত দাখিলা হবে

সমন্বয় দাখিলার বিপরীত বা উল্টা করে দিলেই বিপরীত দাখিলা হয়ে যাবে৷

  • বকেয়া বেতন -- ডেবিট
  • বেতন হিসাব -- ক্রেডিট

বকেয়া আয়ের বিপরীত দাখিলা

ধরা যাক, বিনিয়োগের সুদ বকেয়া রয়েছে ৬,০০০ টাকা। এর সমন্বয় জাবেদা হবে,

  • বকেয়া বিনিয়োগের সুদ -- ডেবিট
  • বিনিয়োগের সুদ -- ক্রেডিট

লেনদেনটির বিপরীত দাখিলা হবে

  • বিনিয়োগের সুদ -- ডেবিট
  • বকেয়া বিনিয়োগের সুদ -- ক্রেডিট

অগ্রিম ব্যয় বা খরচের বিপরীত দাখিলা

ধরা যাক, বেতন অগ্রিম প্রদান করা হল ৫,০০০ টাকা। (যা রেওয়ামিলে বেতন হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে) এর সমন্বয় জাবেদা হবে,

  • অগ্রিম বেতন -- ডেবিট
  • বেতন হিসাব -- ক্রেডিট

লেনদেনটির বিপরীত দাখিলা হবে

  • বেতন হিসাব -- ডেবিট
  • অগ্রিম বেতন -- ক্রেডিট

নোটঃ অগ্রিম খরচ যদি সম্পদ পদ্ধতিতে দেওয়া থাকে। তখন এর কোন বিপরীত দাখিলা দেওয়া যাবেনা।

অগ্রিম আয় বা অনুপার্জিত আয়ের বিপরীত দাখিলা

ধরা যাক, উপভারড়া অগ্রিম পাওয়া গেল ৫,০০০ টাকা। (যা রেওয়ামিলে উপভাড়া হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে) এর সমন্বয় জাবেদা হবে,

  • উপভাড়া -- ডেবিট
  • অগ্রিম উপভাড়া -- ক্রেডিট

লেনদেনটির বিপরীত দাখিলা হবে

  • অগ্রিম উপভাড়া -- ডেবিট
  • উপভাড়া -- ক্রেডিট

নোটঃ অগ্রিম আয় বা অনুপার্জিত আয় যদি দায় পদ্ধতিতে দেওয়া থাকে। তখন এর কোন বিপরীত দাখিলা দেওয়া যাবেনা।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url