রেওয়ামিলে কাকে বলে বা কি এর বৈশিষ্ট্য ও প্রস্তুত করণ - NagorikSebaBD

যে বিবরণীতে ব্যবসায়ের সকল হিসাবকে ডেবিট এর গুলো ডেবিট ও ক্রেডিট এর উদ্ধৃত গুলো ক্রেডিট এর কলামে অন্তর্ভুক্ত করে উভয় পাশের টাকা সমান আছে কিনা তা যাচাই করা হয়, তাকেই রেওয়ামিল বলে।

রেওয়ামিলে কাকে বলে বা কি এর বৈশিষ্ট্য ও প্রস্তুত করণ

রেওয়ামিল হিসাব চক্রের কোন ব্যাধ্যতা মুলক নয়৷ এটা শুধু হিসাবের ডেবিট ও ক্রেডিট পাশের যোগফলের সমতা যাচাই করার মাধ্যম। এই সমতা যাচাই করা ছাড়া রেওয়ামিল হিসাব বিজ্ঞানে আর কোন ভুমিকা পালন করে না৷

রেওয়ামিলে হিসাবের শুদ্ধতা কিভাবে যাচাই করে।

দুই তরফা দাখিলা পদ্ধতির নিয়ম অনুসারে প্রতিটি লেনদেনের দুটি পক্ষ(ডেবিট, ক্রেডিট) হয়। আর তখন প্রতিটি লেনদেনের ডেবিট আর ক্রেডিট এ একই পরিমান টাকা লিপিবদ্ধ হয়। তাই খতিয়ান করার পর সকল হিসাবকে ডেবিট ও ক্রেডিট পক্ষে লিপিবদ্ধ করে, তা সমান আছে কিনা যাচাই করা হয়। যদি ডেবিট ও ক্রেডিট পক্ষের টাকার পরিমান সমান হয়, তাহলে হিসাব চক্রের এর আগের ধাপগুলো নির্ভুল আছে। আর যদি সমান না হয়, তাহলে কোন ভুল আছে। এভাবে রেওয়ামিলের মাধ্যমে সহজে সমতা যাচায় করা হয়।

রেওয়ামিলের বৈশিষ্ট্য

  • রেওয়ামিল কোন হিসাব বা হিসাবের অংশ নয়, এটি শুধুই বিবরণী
  • রেওয়ামিলে ডেবিট ও ক্রেডিট দুটি টাকার ঘর থাকে, খতিয়ানের ডেবিট উদ্ধৃত গুলো ডেবিট ঘরে আর খতিয়ানের ক্রেডিট উদ্ধৃত গুলো ক্রেডিট ঘরে বসবে।
  • এর জন্য কোন হিসাবের বই ব্যবহার করা হয় না। বরং আলাদা কাগজে করে থাকে।
  • এটি সাধারণত হিসাবকালের শেষ তারিখে আর্থিক বিবরণী প্রস্তুতের পূর্বে করা হয়।
  • রেওয়ামিলে হিসাবের গাণিতিক শুদ্ধতা যাচাই করা হয়।
  • রেওয়ামিলে আর্থিক বিবরণী প্রস্তুতে সহয়তা করে।

রেওয়ামিল কিভাবে প্রস্তুত করবেন

ব্যবসায়িক লেনদেন প্রথমে জাবেদাভুক্ত করে তা খতিয়ানে স্থানান্তর করা হয়। একটি নির্দিষ্ট তারিখে এ খতিয়ানসমূহের জের নিয়ে আলাদা একটি কাগজে রেওয়ামিল তৈরি করা হয়।

রেওয়ামিলে ক্রমিক নং, হিসাব শিরোনাম, রেফারেন্স বা সূত্র ও দুটি টাকার ঘরসহ মোট ৫টি ঘর থাকে। দুটি টাকার কলামের একটি হলো ডেবিট টাকা ও অন্যটি হলো ক্রেডিট টাকা।

নিচে রেওয়ামিলের একটি ছক দেয়া হলোঃ

ক্রমিক নং বিবরণ ডেবিট টাকা ক্রেডিট টাকা
-- -- -- --

রেওয়ামিলের ঘরের বা কলামের বিস্তারিত

ক্রমিক নং ঘরে খতিয়ানগুলো ক্রমিক সংখ্যা (১, ২, ৩..........) লিখতে হয়। হিসাবের শিরোনাম ঘরে খতিয়ানের হিসাব শিরোনাম লিখতে হয়। তারপর সংশ্লিষ্ট খতিয়ানের জের ডেবিট হলে তা ডেবিট টাকার কলামে এবং জের ক্রেডিট হলে ক্রেডিট টাকার কলামে লিখতে হয়।

সকল খতিয়ানের জের উপরিউক্ত ছকে সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করার পর সাধারণত ডেবিট ও ক্রেডিট টাকার যোগফল সমান হবে। যদি উভয় পক্ষ সমান হয় তবে ধরে নেয়া হয় যে, হিসাবগুলো গাণিতিকভাবে শুদ্ধ। সাধারণত সম্পত্তি, ব্যয় ও উত্তোলন সংক্রান্ত খতিয়ানগুলোর ডেবিট জের হয়ে থাকে। অন্যদিকে দায়, আয় ও মূলধন খতিয়ানগুলোর জের সাধারণত ক্রেডিট হয়ে থাকে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url