প্রাপ্য হিসাব ও প্রাপ্য নোটের মধ্যে পার্থক্য
প্রাপ্য হিসাব হল কোন পণ্য বা সেবা বাকিতে বিক্রয়ের এর ফলে যে অর্থ অন্য কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পাবে থাকে প্রাপ্য হিসাব বলে।
অন্যদিকে, কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে প্রাপ্য অর্থের (দেনাদারের) বিপরীতে অঙ্গীকারসহ টাকার পরিমাণ, পরিশোধের সময়, বাট্টা ইত্যাদি উল্লেখ সহ যে লিখিত দলিল বা নোট দেনাদারকে প্রদান করে থাকে, তাকে প্রাপ্য নোট বলে।
প্রাপ্য হিসাব ও প্রাপ্য নোটের মধ্যে পার্থক্য
প্রাপ্য হিসাব | প্রাপ্য নোট |
---|---|
পণ্য বা সেবা বাকীতে বিক্রয়ের ফলে যে অর্থ দেনাদানের নিকট পেয়ে থাকে প্রাপ্য হিসাব বলে। | দেনাদারের নিকট থেকে যে অর্থ পাবে তার পরিমান, বিল দাতার কর্তৃক অর্থ প্রদানের অঙ্গীকার নামা ও বাট্টার পরিমান সহ উল্লেখিত দলিলকে প্রাপ্য নোট বলে। |
প্রাপ্য হিসাবে কোন প্রকার দলিল বা অঙ্গীকার থাকতে ও পারে আবার না থাকতে ও পারে। | প্রাপ্য বিল অবশ্যই দলিল বা নোট থাকবে। অন্যতায় সেটি প্রাপ্য নোট হবে না। |
প্রাপ্য হিসাব নগদে রুপান্তর যোগ্য হয়না। শুধুমাত্র দেনাদার থেকে অর্থ আদায় সম্ভব। | প্রাপ্য বিল দেনাদার বাদে ও অন্য কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে নির্দিষ্ট বাট্টায় নগদে রুপান্তর সম্ভব। |
এটির আইনগত ভিত্তি নেই। | এটির আইনগত ভিত্তি আছে। |
প্রাপ্য হিসাব এর পরিধি বড়। | প্রাপ্য নোট এর পরিধি ছোট। |
প্রাপ্য হিসাব ও প্রাপ্য নোটের মধ্যে পার্থক্য
প্রাপ্য হিসাব ও প্রাপ্য নোটের মধ্যে যে পার্থক্য তা হল সকল প্রাপ্য নোট ই হল প্রাপ্য হিসাব। ধরুন আপনি একটি পন্য বাকীতে বিক্রয় করে ক্রেতার নিকট থেকে কোন নোট বা দলিলাদি গ্রহন করে নাই তখন সেটি প্রাপ্য হিসাব। আবার যদি আপনি ক্রেতার নিকট থেকে নোট বা দলিল (টাকার পরিমান, পরিশোধের তারিখ, বাট্টা উল্লেখিত) নিয়ে থাকেন তখন সেটি প্রাপ্য নোট এ অন্তর্ভক্ত হবে।
অর্থাৎ আরো সহজভাবে বলতে গেলে, কোন প্রাপ্য হিসাবের জন্য যদি কোনো ধরনের প্রমাণাদি পত্র করে থাকে সেটিই প্রাপ্য নোট এ পরিবর্তন হয়ে যায়।
প্রাপ্য হিসাব ও প্রাপ্য নোটের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য
প্রাপ্য হিসাব ও প্রাপ্য নোট উভয়ই চলতি সম্পদ। ও দেনাদারে অন্তর্ভভুক্ত হয়ে থাকে।